Header Ads

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের দলীল প্রথম দলীল: আল্লাহ তা‘আলা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হযরত মূসা ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে ইরশাদ করেন, “আপনি (তূর পর্বতের) পশ্চিম পার্শ্বে উপস্থিত ছিলেন না, যখন আমি মূসার কাছে হুকুম প্রেরণ করেছি। আপনি তা প্রত্যক্ষও করেননি”। পাঠক! একটু চিন্তা করুন, স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনের আয়াত নাযিল করে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের নবুওয়াত প্রাপ্তির ঘটনা শুনিয়ে বলছেন, আপনি তূর পর্বতের পশ্চিম পার্শ্বে হাযিরও ছিলেন না নাযিরও ছিলেন না অর্থাৎ ঘটনাস্থলে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন না এবং ঘটনা প্রত্যক্ষও করেননি। তাই কুরআনের আয়াত নাযিল করে আমি আপনাকে সেই ঘটনা শোনাচ্ছি। কিন্তু আমার বিদ‘আতী ভাইয়েরা আজ বলতে চাচ্ছেন যে, তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তা প্রত্যক্ষ করেছেন। কুরআন-হাদীস সম্পর্কে কি পরিমাণ অজ্ঞ হলে মানুষ এমন কথা বলতে পারে? এখানে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই স্পষ্ট করে বলে দিলেন যে, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর নবুওয়াত প্রাপ্তির সময় আপনি (তূর পর্বতের পশ্চিম পার্শ্বে) হাযিরও ছিলেন না নাযিরও ছিলেন না। রাসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামকে হাযির-নাযির বলা হলে আল্লাহ তা‘আলার কথা নিরর্থক প্রমাণিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ। দ্বিতীয় দলীল: অপর স্থানে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘আপনার আশপাশের পল্লীবাসী ও মদীনাবাসীর মাঝে এমন কিছু মুনাফিক রয়েছে যারা মুনাফিকীতে সিদ্ধ। আপনি তাদের সম্পর্কে জানেন না, আমি জানি’। তৃতীয় দলীল: আল্লাহ তা‘আলা হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ও তাঁর ভাইদের ঘটনা বিস্তারিত জানানোর পর ইরশাদ করেন, “(হে নবী!) এ কাহিনী অদৃশ্য সংবাদসমূহের একটি, যা আমি ওহীর মাধ্যমে আপনাকে জানাচ্ছি, আর আপনি সেই সময় তাদের নিকট উপস্থিত ছিলেন না যখন তারা ষড়যন্ত্র করে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্থির করে ফেলেছিলো (যে তারা ইউসুফকে কুয়ায় ফেলে দিবে)”। এখানে আল্লাহ তা‘আলা হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে নবী হযরত ইউসুফ আ. এর দশ ভাই মিলে যখন হযরত ইউসুফ আ. কে কূপে নিক্ষেপ করার ষড়যন্ত্র করছিলো তখন আপনি সেখানে হাযির ছিলেন না এবং এ ঘটনার নাযিরও ছিলেন না, তাই ওহী নাযিল করে আপনাকে আমি তাঁর কাহিনী অবগত করছি। চতুর্থ দলীল: হযরত মারয়াম এবং হযরত যাকারিয়া আ. এর ঘটনা নবীজীকে অবগত করার পর আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘(হে নবী!) এসব অদৃশ্যের সংবাদ, যা ওহীর মাধ্যমে আপনাকে দিচ্ছি। তখন আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন মারয়ামের তত্ত্বাবধান কে করবে- (এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য) তারা নিজ-নিজ কলম নিক্ষেপ করছিলেন এবং তখনও আপনি তাদের কাছে (হাযির) ছিলেন না, যখন তারা (এ বিষয়ে) একে অন্যের সাথে বাদানুবাদ করছিলো। (তখন আপনি ঘটনার নাযিরও ছিলেন না)’। পঞ্চম দলীল: অনুরূপভাবে হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই তাঁর হাযির-নাযির হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, হযরত আব্দুল্লাহ রাযি. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ রাব্বুলআলামীনের পক্ষ হতে পৃথিবীতে বিচরণকারী কিছু ফেরেশতা নিয়োগ করা হয়েছে, যারা (পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে) আমার উম্মতের প্রেরিত সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেয়। হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি হাযির-নাযিরই হন, তাহলে ফেরেশতাদের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সালাম পৌঁছানোর প্রয়োজনটা কী? এ ধরণের অসংখ্য প্রমাণ হাদীসের কিতাবের পাতায় পাতায় বিদ্যমান যার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি হাযির-নাযির নন। কুরআনের এ সকল আয়াত ও হাদীস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম, হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘হাযির-নাযির’ নন বরং আল্লাহ তা‘আলা ওহীর মাধ্যমে যতটুকু অবগত করেন, তিনি ততটুকুই জানেন, এর বেশি কিছুই তিনি জানেন না। তাকে হাযির-নাযির বিশ্বাস করা শিরকী আক্বীদা, যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। এরূপ ব্যক্তি তাওবা করে নতুনভাবে ঈমান না আনলে সে কখনো বেহেশতে যেতে পারবে না। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi
Blogger দ্বারা পরিচালিত.