মুনাজাতে করণীয় ও নামায ভঙ্গের কারণ
মুনাজাতে করণীয়ঃ
১.উভয় হাত সিনা বরাবর রাখা।
২.হাতের তালু চেহারার সম্মুখে আসমানের দিকে করে রাখা।
৩.হাতের আঙ্গুলগুলো মোটামুটি সোজা রেখে স্বাভাবিক ফাঁক করে রাখা।
৪.দু‘হাতের মধ্যখানে সামান্য পরিমাণ ফাঁক রাখা।
৫.শুরুতে আল্লাহ পাকের হামদ্ ও রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পড়া।
৬.একাগ্রচিত্তে কাকুতি-মিনতির সাথে দু‘আ করা।
৭.একান্ত বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে চাওয়া যে, হায় আল্লাহ! আমাকে অমুক জিনিস দান করুন। (এভাবে না চাওয়া যে, ইচ্ছে হলে দেন এবং মৃত্যু, গযব ইত্যাদি না কামনা করা।)
৮.চুপে চুপে দু‘আ করা। [মুস্তাহাব]
৯.দীন দুনিয়ার কাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো বারবার প্রার্থনা করা।
১০.দু‘আ শেষে সুবহানা রাব্বিকা .... আয়াতগুলো পড়ে তার পর ‘আমীন’ বলে মুনাজাত শেষ করা।
নামায ভঙ্গের কারণ ১৯টিঃ
১.নামাযে অশুদ্ধ পড়া।
২.নামাযের ভিতরে কথা বলা।
৩.কোন লোককে সালাম দেয়া।
৪.সালামে উত্তর দেয়া।
৫.উহ্-আহ্ শব্দ করা।
৬.বিনা ওযরে কাশি দেয়া।
৭.আমলে কাছীর করা।
৮.বিপদে বা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা।
৯.তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় সতর খুলে থাকা।
১০.মুক্তাদি ছাড়া অপর ব্যক্তির লোকমা গ্রহণ করা।
১১.সুসংবাদের বা দুঃসংবাদের উত্তর দেয়া। ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন’ বলা।
১২.নাপাক জায়গায় সিজদা করা।
১৩.কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যাওয়া।
১৪.নামাযে কুরআন শরীফ দেখে পড়া।
১৫.নামাযে শব্দ করে হাসা।
১৬.নামাযে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করা।
১৭.হাঁচির উত্তর দেয়া। (জাওয়াবে ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা)
১৮.নামাযে খাওয়া বা পান করা।
১৯.ইমাম হতে এগিয়ে মুক্তাদির খাড়া হওয়া।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi