পূর্নাঙ্গ নামাযের ফরয ও ওয়াজিব...!!!
নামাযের ফরয ও ওয়াজিব
নামাযের ফরয ১৩টিঃ
নামাযের বাইরে ৭ ফরযঃ
২. কাপড় পাক হওয়া। (সূরায়ে মুদ্দাসসির:৪)
৩. নামাযের জায়গা পাক হওয়া। (বাকারা: ১২৫)
৪. ছতর ঢাকা (অর্থাৎ, পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা।) (বাকারা-৩১)
৫. কিবলামুখী হওয়া। (বাকারা-১৪৪) ৬. ওয়াক্তমত নামায পড়া। (নিসা-১০৩)
৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা। (বুখারী হা: নং ১)
নামাযের ভেতরে ৬ ফরযঃ
২. ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া। (বাকারা-২৩৮)
৩. কিরাত পড়া। (মুযযাম্মিল:২০)
৪. রুকু করা। (হজ্ব-৭৭)
৫. দুই সিজদা করা। (প্রাগুক্ত)
৬. শেষ বৈঠক করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৯৭০)
নামাযের ওয়াজিব ১৪টিঃ
১. সূরায়ে ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারী হা: নং ৭৫৬)
২. সূরাহ ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা কিংবা ছোট তিন আয়াত অথবা বড় এক আয়াত মিলানো। (বুখারী হা: নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)
৩. ফরযের প্রথম দুই রাকাআতকে ক্বিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। (বুখারী হা: নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)
৪. সূরায়ে ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযী হা: নং ২৪৬, ত্বহাবী হা: নং ১১৭২)
৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থীরভাবে আদায় করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৮৫৬-৮৫৮)
৬. প্রথম বৈঠক করা। (বুখারী হা: নং ৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী হা: নং ৮৩০,৮৩১, মুসলিম হা: নং ৪০২, ৪০৩)
৮. প্রত্যেক রাকাআতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তারতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।
৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব-স্ব স্থানে আদায় করা। (বাদায়িউস সানায়ে: ১/৬৮৯)
১০. বিতরের নামাযে তৃতীয় রাকাআতের ক্বিরাতের পর কোন দুআ পড়া। অবশ্য দুআয়ে কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।
১১. দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবূ দাউদ হা: নং ১১৫৩)
১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (ইবনে আকি শাইবা হা: নং ৫৭০৪)
১৩. ইমামের জন্য যুহর আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে কিরা‘আত আস্তে পড়া, এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু’আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমাযান মাসের বিতর নামাযে কিরা‘আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবী দাউদ হা: নং ৪১, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক হা: নং ৫৭০০ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হা: নং ৫৪৫২)
১৪. সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৯৯৬)