পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে তিলাওয়াতের তারতীব
ফজর ও যুহরের নামাযে তিওয়ালে মুফাস্সাল, আসর ও ইশার নামাযে আউসাতে মুফাস্সাল এবং মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাস্সাল পড়া সুন্নাতঃ
(۱) عن سلیمان بن یسار ؒ أنہ سمع أباھریرۃؓ یقول : ’’ما رأیت أحدا أشبہ صلاۃ برسول اللہ ۔ﷺ۔ من فلان أمیر کان با لمدینۃ. قال سلیمان : فصلیت أنا وراۂ فکان یطیل فی الاولیین من الظہر و یخفف الأخریین و یخفف العصر ویقرأ فی الأولیین من المغرب بقصار المفصل وفی العشاء بوسط المفصل وفی الصبح بطوال المفصل...الخ‘‘۰
رواہ الامام النسائی فی ’’سننہ‘‘ ۲/ ۱۲۰۔۱۲۱ ( ۹۸۳) کتاب افتتاح الصلاۃ بابالقرا أۃ فی المغرب تبصاالمفصل وابن حبان فی ’’صحیحہ‘‘ أنظر ’’الاحسان‘‘ ۳/ ۱۲۱۔۱۲۲(۱۸۳۳) وہذا لفظ ابن حبان
(۲) عن أبی سعید الخدریؓ أن رسول اللہ ۔ﷺ۔ کان یقرأ فی صلاۃ الظہر فی رکعتین الأولیین فی کل رکعۃ قدر ثلاثین أیۃ‘ وفی الأخریین قدر خمس عشرۃ أیۃ او قال : نصف ذلک وفی العصر فی الرکعتین الأولیین فی کل رکعۃ قدر قراء ۃ خمس عشرۃ أیۃ وفی الأخریین قدر نصف ذلک.
رواہ الامام مسلم فی ’’صحیحہ‘‘ برقم ( ۴۵۲) کتاب ا لصلاۃ‘ باب القرأۃ فی الظہر والعصر.
অর্থ:(১) হযরত সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. কে বলতে শুনেছেন যে, প্রিয় নবী ﷺ এর নামাযের সাথে অধিক সাদৃশ্য পূর্ণ নামায অমুক ব্যক্তি অপেক্ষা (একজন সাহাবীর প্রতি ইঙ্গিত করলেন যিনি তৎকালে মদীনার আমীর ছিলেন) আর কাউকে পড়তে দেখিনি। (হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. ছাত্র সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহ. বলেন: (এ কথা শুনে) আমি ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লাম। তিনি যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতকে দীর্ঘ করতেন। আর শেষের দুই রাকা‘আত কে খাট করতেন। আর আসর কে খাট করতেন। এবং মাগরিবের প্রথম দুই রাকা‘আতে কিসারে মুফাস্সাল ও ইশাতে আউসাতে মুফাস্সাল ও ফজরে তিওয়ালে মুফাস্সাল পড়তেন । সূত্র: নাসাঈ শরীফ ২/১২০-১২১ (৯৮৩) ইবনে মাজাহ্ শরীফ ১/৪৪৯ (৮২৭) সহীহে ইবনে হিব্বান ৩/১২১ (১৮৩৩) সহীহ ইবনে খুযাইমা হাদীস নং(৫২০) হাদীসটির সনদ সহীহ। দ্রঃ বুলূগুল মুরাম পৃষ্ঠা: ৮৪ হদীস নং (৩০৮)
অর্থ: (২) হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী ﷺ যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ পড়তেন। আর শেষের দুই রাকা‘আতে ১৫ আয়াত পরিমাণ পড়তেন। (বর্ণনাকারী এখানে সন্দেহ করে বলেন:) অথবা তিনি বলেছেন যে, প্রিয় নবী ﷺ যুহরের শেষের দু রাকা‘আতে প্রথম দু রাকা‘আতের তুলনায় অর্ধেক পড়তেন। আর আসরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে ১৫ আয়াত পরিমাণ ও পরের দুই রাকা‘আতে তার অর্ধেক পড়তেন। সূত্র: মুসলিম শরীফ হাদীস নং (১০১৫) আবূ দাউদ শরীফ হাদীস নং (১০৪) মুসনাদে আহমাদ ৩/৮৫
উল্লেখ্য যে, এ অনুচ্ছেদে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে ফজর, মাগরিব ও ইশার সুন্নাত কিরাআত প্রমাণিত হচ্ছে। আর দ্বিতীয় হাদীসে বলা হয়েছে, “তিনি যুহরে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ ও আসরে যুহরের অর্ধেক বা পনের আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন।” আর তিওয়ালে মুফাস্সালের পরিমাণ ত্রিশ আয়াত এবং আউসাতে মুফাস্সালের পরিমাণ পনের আয়াত। সুতরাং বর্ণিত সাহাবী কর্তৃক নবী ﷺ এর যুহর ও আসরে উল্লেখিত পরিমাণ কিরাআত পড়ার দ্বারা এই দুই ওয়াক্তের সুন্নাত কিরাআতের পরিমাণ প্রমাণিত হল।
বি: দ্র: যুহরের শেষ রাকা‘আতে নবী ﷺ কখনো সূরা মিলিয়েছেন, এটাকে জায়িয বুঝানোর জন্য। নতুবা ফরয নামাজের শেষের রাকা‘আত ণ্ডলোতে তিনি শুধু সূরা ফাতিহা পড়তেন। যার দলীল একটু পরেই বর্ণনা করা হচ্ছে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi


