Header Ads

নির্দিষ্ট মুজতাহিদ এর তাকলীদ বা অনুসরণ নির্দিষ্ট মুজতাহিদ এর তাকলীদ বা অনুসরণ শিরক নয় বরং ওয়াজিবঃ )۱(عن حذیفۃ بن الیمان ؓ قال : قال رسول اللہ ۔ ﷺ ۔ ’’انی لا أدری ما قدر بقائی فیکم فا قتدوا با لذین من بعدی ‘‘ و أشا ر إلی أبی بکرؓ و عمر ؓ . رواہ الترمذی فی ’’جامعہ ‘‘ برقم ( ۳۶۶۲ ) کتاب المناقب ‘ باب مناقب أبی بکر ؓ و عمرؓ . و ابن ماجہ فی ’’سننہ‘‘ ۱/۸۰ (۹۷) و ہذا لفظ ابن ماجہ. ) ۲(عن عکرمۃؒ أن أہل المدینۃ سئلوا ابن عباسؓ عن إمرأۃ طافت ثم حاضت قال لہم : تنفر قالوا : لا نأخذ بقولک و ندع قول زید قال : إذا قدمتم المدینۃ فسئلوا فقدموا المدینۃ فسألوا فکان فیمن سأ لوا أم سلیم فذکرت حدیث صیفۃؓ ... الخ. رواہ البخاری فی ’’ صحیحہ ‘‘ ۱/۴۱۷ ( ۱۷۵۸) و(۱۷۵۹) کتاب الحج ‘ باب إذا حاضت المرأۃ بعد ما أفاضت . অর্থ: (১) হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. বলেন: প্রিয়নবী ﷺ ইরশাদ করেছন, “আমিতো জানিনা আর কতদিন তোমাদের মাঝে জীবিত থাকব, তাই আমার অবর্তমানে তোমরা এ দুজনের অনুসরণ করবে। এটা বলে তিনি হযরত আবূ বকর রাযি. ও হযরত উমরের রাযি. দিকে ইঙ্গিত করলেন। সূত্র: তিরমিযী শরীফ হাদীস নং (৩৬৬২) ইবনে মাজাহ শরীফ ১/৮০(৯৭) মুসনাদে আহমাদ ৫/৩৮২, ৩৮৫, ৩৯৯, ৪০২ (অবশিষ্ট-৪৭) প্রকাশ থাকে যে, বর্ণিত হাদীসে প্রিয়নবী ﷺ হযরত আবূ বকর রাযি. ও হযরত উমর রাযি. কে নির্দিষ্ট করে তাঁদের অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এবং এ ক্ষেত্রে নির্দেশ সূচক শব্দ ব্যবহার করেছেন। যদ্দারা সাধারণতঃ ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। বুঝা গেল, নির্দিষ্ট ইমামের তাকলীদ করার ব্যাপারে প্রিয়নবী ﷺ নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন এবং ওয়াজিব সাব্যস্ত করে দিয়েছেন। এর মধ্যে এদিকে ও ইঙ্গিত রয়েছে যে, হযরত আবূ বকর রাযি. ও হযরত উমর রাযি. এর পরবর্তীতেও যোগ্য ব্যক্তির অনুসরণ করা যাবে। যেমন সামনের হাদীসে এর একটি নজীর রয়েছে। অর্থ: (২) হযরত ইকরিমা রহ. থেকে বর্ণিত, (একদা হজ্বের মৌসুমে) মদীনাবাসীগণ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. (মক্কার মুফতী) কে এমন এক মহিলা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন, যে তওয়াফে যিয়ারত (ফরয তাওয়াফ) করার পর ঋতুবতী হয়ে গেল। (এখন সে কি দেশে ফিরে যাবে, নাকি বিদায়ী তাওয়াফের জন্য মক্কায় অবস্থান করতে থাকবে?) তিনি জবাব দিলেন যে, সে (নিজ কাফেলার সাথে) দেশে ফিরে যাবে। মদীনাবাসীগণ বললেন: আমরা (মদীনার মুফতী) যায়েদ রাযি. এর কথা ছেড়ে আপনার কথা গ্রহণ করতে পারি না। (কারণ, হযরত যায়েদ রাযি. মদীনা শরীফে তাদের ইমাম ছিলেন এবং তার মতামত ছিল এর বিপরীত) অনন্তর, হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. বললেন: তোমরা মদীনা যেয়ে জিজ্ঞেস কর, তারা তাই করলেন। মদীনা শরীফে এসে বিভিন্ন লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন। প্রশ্নকারীরা যাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন তাদের মধ্যে হযরত উম্মে সুলাইম রাযি. ও ছিলেন। এবং তিনি এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন হযরত সাফিয়্যা রাযি. এর ঘটনা বর্ণনা করেন এবং ইবনে আব্বাসের রাযি. ফাতাওয়ার সমর্থন করেন। সূত্র: বুখারী শরীফ ১/৪১৭ (১৭৫৮)(১৭৫৯) প্রকাশ থাকে যে, নবী ﷺ এর ইনতিকালের পর প্রত্যেক শহরের লোকেরা ঐ শহরের বড় আলেম এর তাকলীদ করতেন এবং তাঁর ফয়সালা অনুযায়ী চলতেন। সেই হিসাবে, মদীনা বাসীগণ হযরত যায়েদ রাযি. এর তাকলীদ করতেন বলে তারা মক্কার মুফতী হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. এর ফাতাওয়াকে গ্রহণ করলেন না। বরং এ ব্যাপারে তাদের ইমাম হযরত যায়েদ রাযি. এর মতামতের স্মরণাপন্ন হলেন। এর দ্বারা নিদিষ্ট ইমামের তাকলীদ প্রমাণিত হয়। https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi
Blogger দ্বারা পরিচালিত.