জবাব
অবতরণিকা
আল্লাহ তা‘আলা সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মানিত করেছেন এবং উলামায়ে কিরাম ও আইম্মায়ে মাসাজিদকে তার উত্তরসূরী ঘোষণা করেছেন। উলামায়ে কিরাম ব্যক্তিগতভাবে বা দুনিয়ার দিক দিয়ে যে স্তরের লোক হোন না কেন, তারাই এ আয়াতের বাস্তব ‘আমি দুনিয়ার মধ্যে কমজোর তবকার উপর ইহসান করতে চাই এবং তাদেরকে ইমাম ও সর্দার বানাতে চাই।’ (সূরা কাসাস-৫)
বস্তুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর মিহরাব ও মিম্বর আজ ইমামদের নিকট, তাদের তত্ত্বাবধানে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উত্তরসূরী হওয়ার কারণে ইমামগণের যিম্মাদারী অনেক। ইরশাদ হচ্ছে ‘তোমরা আমানত পাওনাদারের নিকট পৌঁছে দাও।’ (সূরা নিসা-৫৮)
এর তাফসীরে বলা হয়েছে, সাধারণ মুসলমানদের দীন ও ঈমান উলামাগণের নিকট আমানত যা তাদেরকে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। অন্যত্র বলা হয়েছে ‘তাদেরকে এক যবরদস্ত নূর দান করা হয়েছে যা নিয়ে তারা সর্বত্র বলতে থাকবেন।’ (সূরা আন‘আম-১২২)
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে পূর্ণিমার চাঁদের সাথে তুলনা করেছেন। মসজিদের ইমামগণের উপর অর্পিত এ দায়িত্বের সংক্ষিপ্ত আলোচনা মাসিক রাহমানী পয়গামে প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাপক ফায়দার উদ্দেশ্যে তা পুস্তিকা আকারে ছাপা হল। আল্লাহ তা‘আলা কবুল করুন।আপনি যেহেতু নায়েবে নবী, সুতরাং নবী-রাসূলগণের যে তিনটি কাজ ছিল-যথা তাবলীগ,তা‘লীম ও তাযকিয়া (সূরা বাক্বারাহ-১২৯)
এ সিফাতগুলোও এর সাথে সাথে দীনী মাদরাসা পরিচালকের যিম্মাদারী সম্পর্কেও কিছু আলোচনা পেশ করা হইল।এ কাজগুলো প্রথমে নিজের মধ্যে হাসিল করতে হবে এবং এর প্রত্যেকটি গুণকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী হাক্কানী উলামায়ে কেরাম থেকে শিখতে হবে এবং নিজের যিন্দেগীকে উক্ত তিন যিম্মাদারী ও দায়িত্ব আদায় করার জন্য ওয়াকফ করতে হবে। সুতরাং প্রত্যেক ইমাম সাহেবের উপর তিনটি যিম্মাদারী পালন করা অপরিহার্য কর্তব্য।
নিম্নে উপরোক্ত যিম্মাদারী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করা হল।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi