ঈমান সংশ্লিষ্ট ৭টি কাজ-যা জবানের দ্বারা সমাধা হয়...!!!
ঈমান সংশ্লিষ্ট সাতটি কাজ-যা জবানের দ্বারা সমাধা হয়
৩১. কালিমা পড়াঃ কালিমার অর্থ-আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে বান্দার অঙ্গীকারের কথা দিলে বিশ্বাস করার সাথে সাথে মুখে স্বীকার করা। ইমাম আহমদ রহ. একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা ঈমান তাজা করতে থাকবে। আরয করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঈমান তাজা করতে হবে কেমন করে? হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, খুব বেশি করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমা পড়তে থাকবে। [সূত্র: আহমদ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -৩৫৯।]
হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আবু হুরাইরা রাযি. হতে রিওয়ায়েত আছে হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত (মুমূর্ষ) লোকদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমার তালকীন দাও। [সূত্র:মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৩০০]
এতদ্ব্যতীত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমার ফযীলত সম্বন্ধে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত রয়েছে। অন্তরে আল্লাহ আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমানের পাশাপাশি মুখে তার প্রকাশই রয়েছে কালিমার ভিতর।
৩২. কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে থাক। কেননা, যারা কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে থাকবে, কিয়ামতের দিন স্বয়ং কুরআন শরীফ তাদের জন্য শাফা‘আত করবে। [সূত্র : মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭০।]
৩৩. দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যার ভালো করার ইচ্ছা করেন, তাকে দ্বীনের ইলম ও কুরআনী জ্ঞান দান করেন। [সূত্র:বুখারী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৬ ও মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৩৩]
তিনি আরো বলেছেন, ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরয। [সূত্র : ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা-২০] আরবী ভাষায় ব্যুৎপত্তি না থাকার কারণে এবং উসতাদের কাছে হাদীস না পড়ার দরুন অনেকে এই হাদীসের দ্বারা আধুনিক বিদ্যার নামে ভাষা শিক্ষা এবং জ্ঞানের নামে জড়জগতের জ্ঞান লাভের অর্থ বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ও মনগড়া ব্যাখ্যা। এখানে ইলম দ্বারা একমাত্র দ্বীনের জ্ঞানই উদ্দেশ্য।
৩৪. দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেওয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কারো নিকট কোন ইলমের কথা জিজ্ঞেস করা হলে অর্থাৎ শিক্ষাপ্রার্থী হলে, সে জানা সত্ত্বেও যদি তা প্রকাশ না করে অর্থাৎ শিক্ষা না দেয়, তবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে আগুনের লাগাম পরিয়ে (শাস্তি) দিবেন। [সূত্র: আবু দাউদ খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫১৫ ও তিরমিযী শরীফ, খণ্ড -২, পৃষ্ঠা-৯৩]
অন্য হাদীসে এসেছে, দ্বীন শিক্ষা দানকারীর জন্য আসমান ও জমিনের সকল মাখলুক দু‘আ করতে থাকে। [সূত্র: তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ৯৭ ও মিশকাত শরীফ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৪।]
তাই আল্লাহপাক যাকে দ্বীনি ইলম দান করে সৌভাগ্যমন্ডিত করেছেন, তার কর্তব্য হচ্ছে, অন্যকে সেই ইলম শিখানো।
৩৫. আল্লাহর নিকট দু‘আ বা প্রার্থনা করা হযরত আনাস রাযি. রিওয়ায়েত করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দু‘আ ইবাদতের মগজ। [সূত্র : তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৭৫।]
রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, আল্লাহর নিকট দু‘আ চাওয়ার মতো মূল্যবান জিনিস আর নেই। অর্থাৎ বান্দা যদি আল্লাহ তা‘আলার কাছে কিছু চায়, তবে আল্লাহ তা‘আলা বড়ই সন্তুষ্ট হন। [সূত্র : তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -১৭৫।]
তাই আল্লাহপাকের কাছে দু‘আ করতে হবে। হাজত চাইতে হবে।
৩৬. আল্লাহর যিকির করা হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. রিওয়ায়েত করেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে আল্লাহর যিকির করে, সে জীবিতের ন্যায় এবং যে, যিকির করে না, সে মৃত্যু-তুল্য। [সূত্র: বুখারী খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৯৪৮ ও মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৬৫।]
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বিভিন্ন জিনিসের ময়লা দূর করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও যন্ত্র আছে; দিলের মলিনতা দূর করার ব্যবস্থাপনা হচ্ছে আল্লাহর যিকির। [সূত্র: বাইহাকীম শু‘আবুল ঈমান খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৯৬।]
৩৭. বেহুদা কথা হতে জবানকে রক্ষা করা হযরত সাহল বিন সা’দ রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার জন্য যে ব্যক্তি দু’টি জিনিসের যিম্মাদার বা জামিন হবে-এক যা তার ওষ্ঠদ্বয়ের মাঝে আছে অর্থাৎ জিহ্বা, দুই যা তার উরুদ্বয়ের মাঝে আছে অর্থাৎ লজ্জাস্থান, আমি তার জন্যে বেহেশতের যামিন ও যিম্মাদার হবো। [সূত্র: বুখারী শরীফ খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -৯৫৮-৯৫৯।]
৩১. কালিমা পড়াঃ কালিমার অর্থ-আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে বান্দার অঙ্গীকারের কথা দিলে বিশ্বাস করার সাথে সাথে মুখে স্বীকার করা। ইমাম আহমদ রহ. একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা ঈমান তাজা করতে থাকবে। আরয করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঈমান তাজা করতে হবে কেমন করে? হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, খুব বেশি করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমা পড়তে থাকবে। [সূত্র: আহমদ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -৩৫৯।]
হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আবু হুরাইরা রাযি. হতে রিওয়ায়েত আছে হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত (মুমূর্ষ) লোকদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমার তালকীন দাও। [সূত্র:মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৩০০]
এতদ্ব্যতীত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কালিমার ফযীলত সম্বন্ধে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত রয়েছে। অন্তরে আল্লাহ আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমানের পাশাপাশি মুখে তার প্রকাশই রয়েছে কালিমার ভিতর।
৩২. কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে থাক। কেননা, যারা কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে থাকবে, কিয়ামতের দিন স্বয়ং কুরআন শরীফ তাদের জন্য শাফা‘আত করবে। [সূত্র : মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭০।]
৩৩. দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যার ভালো করার ইচ্ছা করেন, তাকে দ্বীনের ইলম ও কুরআনী জ্ঞান দান করেন। [সূত্র:বুখারী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৬ ও মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৩৩]
তিনি আরো বলেছেন, ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরয। [সূত্র : ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা-২০] আরবী ভাষায় ব্যুৎপত্তি না থাকার কারণে এবং উসতাদের কাছে হাদীস না পড়ার দরুন অনেকে এই হাদীসের দ্বারা আধুনিক বিদ্যার নামে ভাষা শিক্ষা এবং জ্ঞানের নামে জড়জগতের জ্ঞান লাভের অর্থ বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ও মনগড়া ব্যাখ্যা। এখানে ইলম দ্বারা একমাত্র দ্বীনের জ্ঞানই উদ্দেশ্য।
৩৪. দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেওয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কারো নিকট কোন ইলমের কথা জিজ্ঞেস করা হলে অর্থাৎ শিক্ষাপ্রার্থী হলে, সে জানা সত্ত্বেও যদি তা প্রকাশ না করে অর্থাৎ শিক্ষা না দেয়, তবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে আগুনের লাগাম পরিয়ে (শাস্তি) দিবেন। [সূত্র: আবু দাউদ খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫১৫ ও তিরমিযী শরীফ, খণ্ড -২, পৃষ্ঠা-৯৩]
অন্য হাদীসে এসেছে, দ্বীন শিক্ষা দানকারীর জন্য আসমান ও জমিনের সকল মাখলুক দু‘আ করতে থাকে। [সূত্র: তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ৯৭ ও মিশকাত শরীফ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৪।]
তাই আল্লাহপাক যাকে দ্বীনি ইলম দান করে সৌভাগ্যমন্ডিত করেছেন, তার কর্তব্য হচ্ছে, অন্যকে সেই ইলম শিখানো।
৩৫. আল্লাহর নিকট দু‘আ বা প্রার্থনা করা হযরত আনাস রাযি. রিওয়ায়েত করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দু‘আ ইবাদতের মগজ। [সূত্র : তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৭৫।]
রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, আল্লাহর নিকট দু‘আ চাওয়ার মতো মূল্যবান জিনিস আর নেই। অর্থাৎ বান্দা যদি আল্লাহ তা‘আলার কাছে কিছু চায়, তবে আল্লাহ তা‘আলা বড়ই সন্তুষ্ট হন। [সূত্র : তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -১৭৫।]
তাই আল্লাহপাকের কাছে দু‘আ করতে হবে। হাজত চাইতে হবে।
৩৬. আল্লাহর যিকির করা হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. রিওয়ায়েত করেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে আল্লাহর যিকির করে, সে জীবিতের ন্যায় এবং যে, যিকির করে না, সে মৃত্যু-তুল্য। [সূত্র: বুখারী খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৯৪৮ ও মুসলিম শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৬৫।]
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বিভিন্ন জিনিসের ময়লা দূর করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও যন্ত্র আছে; দিলের মলিনতা দূর করার ব্যবস্থাপনা হচ্ছে আল্লাহর যিকির। [সূত্র: বাইহাকীম শু‘আবুল ঈমান খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৯৬।]
৩৭. বেহুদা কথা হতে জবানকে রক্ষা করা হযরত সাহল বিন সা’দ রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার জন্য যে ব্যক্তি দু’টি জিনিসের যিম্মাদার বা জামিন হবে-এক যা তার ওষ্ঠদ্বয়ের মাঝে আছে অর্থাৎ জিহ্বা, দুই যা তার উরুদ্বয়ের মাঝে আছে অর্থাৎ লজ্জাস্থান, আমি তার জন্যে বেহেশতের যামিন ও যিম্মাদার হবো। [সূত্র: বুখারী শরীফ খণ্ড-২, পৃষ্ঠা -৯৫৮-৯৫৯।]