নামাযের আমলী মশকের গুরত্ব
নামায সহীহ করার জন্য আমলী মশক প্রয়োজনঃ
أیوب عن أبی قلابۃ قال: جاء نا ملک بن الحویریثؓ فی مسجدنا ہذا‘ فقال : إنی لأصلی بکم وما أرید الصلاۃ‘ أصلی کیف کان رأیت النبی۔ ﷺ ۔فقلت لأ بی قلابۃ:کیف کان یصلی ؟ قال: مثل شیخنا ہذا ۔ وکان شیخا یجلس إذا رفع رأسہ من السجود قبل أن ینہض فی الرکعۃ الأولی۰
رواہ البخاری فی’’صحیحہ‘‘۱/۱۶۶(۶۷۷) کتاب الأذان۔ باب من صلی بالناس وہولایرید إلا أن یعلمہم صلاۃ النبی۔ ﷺ۔وسننہ
অর্থ: হযরত আইয়ূবরহ. হযরত আবূ কিলাবা রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: একদা সাহাবী হযরত মালেক ইবনুল হুয়াইরিস রাযি. আমাদের এই মসজিদে আগমন করলেন। অনন্তর, বললেন: আমি এখন তোমাদেরকে নিয়ে নামায পড়ব। তবে নামায পড়ার উদ্দেশ্য নয় বরং প্রিয় নবী ﷺ কে আমি যেভাবে নামায পড়তে দেখেছি সেভাবে তোমাদেরকে দেখানোর জন্যই আমি নামায পড়ব। (হাদীসের রাবী আইয়ুব তার উস্তাদ আবূ কিলাবা রহ. কে বলেন) তারপর আমি আবূ কিলাব রহ. কে বললাম তিনি তখন কিভাবে নামায পড়েছিলেন? তিনি একজন শাইখের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন যে, আমাদের এই শাইখের নামায পড়ার ন্যায়। আর কথিত শাইখ এভাবে নামায পড়তেন যে, তিনি প্রথম রাকা‘আতে সিজদা থেকে মাথা উঠানোর পরে, দাঁড়ানোর পূর্বে একটু বসতেন। সূত্র: বুখারী শরীফ ১/১৬৬ (৬৭৭)। অধ্যায়: ঐ ব্যক্তির দলীল যিনি লোকদের নিয়ে নামায পড়েন, তার মূল উদ্দেশ্য নামায পড়া নয় বরং লোকদেরকে নবী ﷺ এর নামায ও তাঁর সুন্নাতের প্রশিক্ষণ দেয়া।
উল্লেখ্য, বেজোড় রাকা‘আতে দাঁড়ানোর পূর্বে বসাকে জলসায়ে ইসতিরাহাত বলে, যা নবী ﷺ এর সুস্থতার যামানার নামাযে ছিল না। তবে, শেষ জীবনে অসুস্থতার সময় এরূপ বসতেন ।
বলাবাহুল্য, উল্লেখিত হাদীস দ্বারা হযরত সাহাবায়ে কিরাম রাযি. কর্তৃক নামাযের আমলী মশকের প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা, নামায সহীহ তথা পুরোপুরি সুন্নাত অনুযায়ী হওয়ার জন্য নামাযের আমলী মশক করা তথা বাস্তব প্রশিক্ষণ নেয়া জরুরী ।
নিম্নে ধারাবাহিকভাবে নামাযের সুন্নাত সমূহের প্রমাণ পেশ করা হচ্ছে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi


