হাত বাঁধার সময় আঙ্গুলসমূহ
ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠাঙ্গুল দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা ও অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিকভাবে রাখাঃ
)۱(عن قبیصۃ بن ہلبؓعن ابیہ قال :کان رسول اللہ۔ ﷺ۔ یؤمنا فیأخذ شمالہ بیمینہ۰
رواہ الترمذی فی’’جامعہ‘‘ برقم ( ۲۵۲) کتاب الصلاۃ‘ باب ما جاء فی وضع الیمین علی الشمال وقال: حدیث ہلب حدیث حسن۰
)۲(عن عبد اللہ بن مسعودؓ قال : مر بی النبی۔ ﷺ۔ وأنا واضع یدی الیسری علی الیمنی فأخذ بیدی الیمنی فوضعہا علی الیسری
رواہ ابن ماجہ فی ’’سننہ‘‘ ۱/۴۴۱ ( ۸۱۱) قال المحقق : الحدیث صحیح.
অর্থ: (১) হযরত কবীসা ইবনে হুলবরহ. থেকে বর্ণিত, তিনি নিজ পিতা হুল্ব রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, প্রিয়নবী ﷺ আমাদের ইমামতী করতেন তখন ( হাত বাঁধার সময়) ডান হাত দ্বারা বাম ধরতেন । সূত্র: তিরমিযী শরীফ হাদীস নং (২৫২) ইবনে মাজাহ শরীফ ১/৪৪১ (৮০৯) মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৬ (২২৭) (অবশিষ্ট-৬)
অর্থ: (২) হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা প্রিয় নবী ﷺ আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন আমি (নামাযে) আমার বাম হাত ডান হাতের উপর রাখা অবস্থায় ছিলাম। (ইহা দেখে) প্রিয় নবী ﷺ আমার ডান হাত ধরে তা বাম হাতের উপর রেখে দিলেন। সূত্র: ইবনে মাজাহ শরীফ ১/৪৪১(৮৮১) অত্র কিতাবের মুহাক্কিক বলেন ا لحد يث অর্থাৎ হাদীসটি সহীহ। (অবশিষ্ট-৭)
উল্লেখ্য যে, এ অনুচ্ছেদে হাদীস শরীফে দু’ধরণের শব্দ ব্যবহৃত হয়েছেঃ ১- বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা। ২-ডান হাত দ্বারা বাম হাত ধরা। আর উভয় বিষয় বস্তুই সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই ফুকাহায়ে কিরাম এতদুভয়ের মধ্যে এভাবে সামঞ্জস্য সাধন করেছেন যে, ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠাঙ্গুল দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরা ও অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর বিছিয়ে রেখে দেওয়া, এতে উভয় হাদীসের উপর আমল হয়ে যায়।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi


