আরাফা ময়দানে যুহর ও আসর
আরাফা ময়দানে মসজিদে নামিরার জামা‘আত না পেলে যুহর ও আসরকে নিজ নিজ ওয়াক্তে পড়বেঃ
عن إبراہیم قال : إذا صلیت فی رحلک بعرفۃ فصل کل واحدۃ منہما لوقتہا و اجعل لکل واحدۃ منہما أذانا و إ قامۃ.
رواہ إبن أبی شیبۃ فی ’’مصنفہ ‘‘ ۳/۲۵۲ (۱۴۰۳۵(
অর্থ: হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আরাফা ময়দানে তুমি যখন তোমার তাবুতে নামায পড়বে। অর্থাৎ, মসজিদে নামিরার জামা‘আত না পাবে তখন যুহর ও আসরের প্রত্যেকটিকে স্ব স্ব ওয়াক্তে পড়বে। এবং প্রত্যেকটির জন্য পৃথক আযান ও ইকামত দিবে। সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩/২৫২ (১৪০৩৫) হাদীসটির সকল বর্ণনাকারী ছিকাত (নির্ভরযোগ্য) সুতরাং “হাদীসটি সহীহ”। বলা বাহুল্য যে, এর উপরেই উম্মাতের আমল জারী আছে।
উল্লেখ্য যে, যে সকল হাদীসে যুহর ও আসরকে এক সঙ্গে যুহরের প্রথম ওয়াক্তে পড়ার কথা আছে, তা ঐ সময়, যখন মসজিদে নামিরাতে ইমামের পিছনে পড়া হয়। এটাই নবী ﷺ এর আমল থেকে প্রমাণিত। অন্যথায় প্রত্যেকটিকে স্ব স্ব ওয়াক্তে পড়ার হুকুম রয়েছে যেমনটি বর্ণিত হাদীসে হয়েছে।
বি: দ্র: হাদীসটি বাহ্যতঃ মাকতূ’ হলেও হুকুমের দিক দিয়ে তা মারফূ কারণ, বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. এ ব্যাপারে তখনই অন্যকে নির্দেশ দিতে পারেন যখন তা তার নিকট সহীহভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যথায় মনগড়া নির্দেশ তিনি উম্মতকে কখনো দিতে পারেন না।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islami_jindegi


