ঈমানের ৭৭ শাখা...!!!
ঈমানের শাখা
আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-
যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান কতটা বৃদ্ধি করলো? বস্তুত যারা ঈমানদার, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়েছে। [সূত্র : সূরা তাওবা, আয়াত ১২৪।]
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে-
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় থেকে বোঝা যায়, কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত, তা মর্মার্থ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা এবং সে অনুযায়ী আমল করার ফলে ঈমানের উন্নতি অগ্রগতি ঘটে; অর্থাৎ ঈমানের নূর, আস্বাদ ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। হযরত আলী রাযি. বলেন : যখন ঈমান অন্তরে প্রবেশ করে, তখন একটি শ্বেত বিন্দুর মতো দেখায়।
অতঃপর যতই ঈমানের উন্নতি হয়, সেই শ্বেত বিন্দু ততই সম্প্রসারিত হয়ে ওঠে। এমনকি শেষ পর্যন্ত গোটা অন্তর নূরে ভরপুর হয়ে যায়। [সূত্র : তাফসীরে মাযহারী, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩২৬. মা‘আরিফুল কুরআন, খণ্ড ৪ পৃষ্ঠা ৪৯৪।]
হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ঈমানের সত্তরের ওপর শাখা আছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো, (দিলের বিশ্বাসের সাথে) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা এবং সর্বনিম্ন শাখা হলো, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি অন্যতম শাখা। [সূত্র : মুসলিম শরীফ, খণ্ড ১, পৃষ্টা ৪৭]
ঈমান ও ইসলাম কতগুলো কার্যের সমষ্টির নাম। সেই কার্যাবলীর মধ্যে কতগুলো দিলের দ্বারা সম্পন্ন হয়। কতগুলো জবান দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং কতকগুলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের দ্বারা সম্পন্ন হয়।
মোট কার্য ৭৭টি।
তন্মধ্যে দিলের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৩০টি,
জবানের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৭টি এবং
হাত-পা ইত্যাদি বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৪০টি।
তন্মধ্যে ১৬টি কাজ নিজেই করতে হয়।
৬টি নিজের লোকদের সঙ্গে করতে হয়।
১৮টি অন্যান্য জনসাধারণের সাথে করতে হয়।
وَإِذَا مَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ أَيُّكُمْ زَادَتْهُ هَذِهِ إِيمَانًا فَأَمَّا الَّذِينَ آَمَنُوا فَزَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান কতটা বৃদ্ধি করলো? বস্তুত যারা ঈমানদার, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়েছে। [সূত্র : সূরা তাওবা, আয়াত ১২৪।]
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে-
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آَيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا
যখন তাদের নিকট কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। [সূত্র : সূরা আনফাল, আয়াত-২।]
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় থেকে বোঝা যায়, কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত, তা মর্মার্থ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা এবং সে অনুযায়ী আমল করার ফলে ঈমানের উন্নতি অগ্রগতি ঘটে; অর্থাৎ ঈমানের নূর, আস্বাদ ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। হযরত আলী রাযি. বলেন : যখন ঈমান অন্তরে প্রবেশ করে, তখন একটি শ্বেত বিন্দুর মতো দেখায়।
অতঃপর যতই ঈমানের উন্নতি হয়, সেই শ্বেত বিন্দু ততই সম্প্রসারিত হয়ে ওঠে। এমনকি শেষ পর্যন্ত গোটা অন্তর নূরে ভরপুর হয়ে যায়। [সূত্র : তাফসীরে মাযহারী, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩২৬. মা‘আরিফুল কুরআন, খণ্ড ৪ পৃষ্ঠা ৪৯৪।]
হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ঈমানের সত্তরের ওপর শাখা আছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো, (দিলের বিশ্বাসের সাথে) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা এবং সর্বনিম্ন শাখা হলো, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি অন্যতম শাখা। [সূত্র : মুসলিম শরীফ, খণ্ড ১, পৃষ্টা ৪৭]
ঈমান ও ইসলাম কতগুলো কার্যের সমষ্টির নাম। সেই কার্যাবলীর মধ্যে কতগুলো দিলের দ্বারা সম্পন্ন হয়। কতগুলো জবান দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং কতকগুলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের দ্বারা সম্পন্ন হয়।
মোট কার্য ৭৭টি।
তন্মধ্যে দিলের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৩০টি,
জবানের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৭টি এবং
হাত-পা ইত্যাদি বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সম্পন্ন হয় ৪০টি।
তন্মধ্যে ১৬টি কাজ নিজেই করতে হয়।
৬টি নিজের লোকদের সঙ্গে করতে হয়।
১৮টি অন্যান্য জনসাধারণের সাথে করতে হয়।